সন্তানের সাফল্যের জন্য বাবা-মায়ের যা করণীয়

শেয়ার করুন

বাবা-মা এমন এক শব্দ যা কোন অর্থ দিয়ে প্রকাশ করা যাবে না। এই শব্দের অর্থ কোন ডিকশনারি হয়ত কখনো দিতে পারবে না। কেননা এই শব্দ দুইটির পিছনে রয়েছে অনেক আত্মত্যাগ। আর এই ত্যাগের প্রায় ৯০ ভাগই তাদের সন্তানদের জন্য। তাদের সবটুকু সুখ তারা তাদের সন্তানের জন্য বিলিয়ে দিতে প্রস্তুত। সন্তানের সুখের জন্য নিজেদের সুখ বিসর্জন দিতে একবারও তারা ভাববেন না, বিশ্বাস করুন। বাবা-মা হবার পর থেকেই প্রত্যেক নারী পুরুষের অন্যতম ও প্রধান স্বপ্নগুলো থাকে তার সন্তানকে ঘিরে।

তাদের দুনিয়াটা যেন তাদের সন্তানকে নিয়েই হয়ে থাকে। সন্তানের জীবন, ভবিষ্যৎ ও সাফল্য নিয়ে সব সময়ই বাবা মা চিন্তা করেন। জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত প্রার্থনা করে যান সন্তানের সুন্দর জীবন ও সাফল্যের জন্য। সন্তানের জন্য চিন্তা এবং প্রার্থনা ছাড়াও বাবা-মা সন্তানের সাফল্যের জন্য তাদের সর্বাত্মক চেষ্টা করে যান। তবে সাফল্য এমনি এমনি আসবে না, তার জন্য চাই সঠিক পদক্ষেপ। যেগুলোর উপর ভর করে সন্তানেরা তাদের সাফল্যের শীর্ষচুড়ায় পৌঁছাতে পারে। তাই সন্তানকে সফল দেখতে এবং তাদের সাফল্যে ভূমিকা রাখতে সন্তান ছোট থাকতেই বাবা-মা কে কিছু পদক্ষেপ গ্রহন হবে। তাদের অন্তরে কিছু ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করতে হবে। ছোট থাকতেই কিছু নৈতিক শিক্ষার বীজ তাদের অন্তরে গেঁথে ফেলতে হবে তাহলেই একদিন সেই থেকে গাছ তৈরী হবে এবং বেলা শেষে সাফল্য নামক মিষ্টি ফল পাওয়া যাবে।

আপনার সন্তানকে সাফল্যের স্বর্নশিখড়ে পৌঁছে দিতে নিচের ১০টি পদক্ষেপ সঠিকভাবে গ্রহন করতে হবে। তাহলেই সন্তান সাফল্যের সাথে সাথে হয়ে উঠবে মানুষের মত মানুষ:

 

যা যা থাকছে

১। মূল্যবোধের শিক্ষা

আমরা টাকা-পয়সা, নাম, যশ, খ্যাতিকেই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে জীবনের সফলতা ভাবি। এগুলো জীবনের সফলতা, এটা ঠিক। কিন্তু জীবনের সবচেয়ে বড় সফলতা লুকিয়ে আছে ভালো ও আলোকিত মনের মানুষ হওয়া এবং এর জন্য সাধনা করে যাওয়া। আর আলোকিত মনের মানুষ হলে তার দ্বারা সমাজের কোন ক্ষতি সাধন হবে। এবং যারা এই গুনে গুণান্বিত তারা কখনো অসৎ কাজ করতে পারে না আর আমরা জানি সততার সাথে কোন পদক্ষেপ নিলে সেই কাজে সফলতা আসেই। তাই ভিত্তি ঠিক থাকলে টাকা পয়সা এসব আসবেই। আর মা-বাবাকে এগুলা বুঝতে হবে। ভালো চাকরি পর্যাপ্ত টাকা জীবনের জন্য দরকার ঠিকই কিন্তু তার আগে মানুষের মত মানুষ হতে হবে তার সন্তানককে। নয়তো এসব কোনো কিছুর দামই থাকবে না। তাই প্রত্যেক বাব-মা কেই তার সন্তানকে ছোট থেকেই মূল্যবোধের শিক্ষা দিতে হবে। সততা, ন্যায়পরায়ণতা, বিনয়, লজ্জা, সত্য-মিথ্যার পার্থক্য বুঝাতে হবে। মনে রাখবেন পরিবারই সন্তানের সবচেয়ে বড় শিক্ষার স্থান। আর মা-বাবা হচ্ছে সবচেয়ে বড় শিক্ষক।

 

২। সন্তানের রোল মডেল বা আদর্শ হওয়া

জীবনে যারা সফল হয়েছে, তারা কোনো না কোনো সময় কারো না কারো দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েছেন। কখনো সেটা হয়েছে প্রত্যক্ষভাবে কখনো বা পরোক্ষভাবে। আর সে সকল মানুষ আমাদের কাছে আমাদের আদর্শ, আমাদের রোল মডেল। কিন্তু একজন শিশু বা সন্তানের জন্য সবচেয়ে বড় রোল মডেল তার বাবা-মা। শিশুরা অনুকরণ প্রিয়। তারা সবসময় তাদের বাবা-মাকে আদর্শ ভাবে এবং তাদের সব কিছু অনুকরণ করে তাদের মতো হতে চায়। এই কারণে বাবা-মাকে বেশি সর্তক থাকতে হবে। এবং প্রকৃত পক্ষেই সন্তানের সুন্দর আগামীর জন্য সন্তানের সামনে নিজেদেরকে রোল মডেল হিসেবে তৈরি করে উপস্থাপন করতে হবে।

  • সন্তানের সামনে পরিবারের অন্য সদস্যদের কোনো সমালোচনা থেকে বিরত থাকুন।
  • কেউ উপহার দিলে কখনোই সন্তানের সামনে সেই উপহারের খুত বা কম দামি এসব আলোচনা করবেন না।
  • পরিবারের কেউ কাউকে উপকার করলে ধন্যবাদ দিন। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন। ঘরের মানুষ বলে তাকে ধন্যবাদ দেওয়া যাবে না, এই ধারণা থেকে বের হয়ে আসুন। আপনার এই ছোট পদক্ষেপ সন্তানকে কৃতজ্ঞতা বোধ শিক্ষা দিবে।
  • পরিবারের কেউ ভুল করলে, একে অপরের কাছে দুঃখ প্রকাশ করুন।
  • কারো ব্যক্তিগত বা ব্যবহার্য জিনিস নেওয়ার আগে অনুমতি নিন। হোক পরিবারের অন্য সদস্যের জিনিস তাও জিজ্ঞেস করে নিন। সন্তান তবে কখনো কারো জিনিস না বলে ধরবে না। পরিবার বা বাইরের কারো জিনিস না বলে নেওয়াটা লজ্জার, এটা অনেক ক্ষেত্রে চুরির পর্যায়ে পড়ে সন্তানকে বুঝিয়ে বলুন।
  • কেউ আসলে বা কল দিলে অনেক ক্ষেত্রে সন্তানকে দিয়ে আমরা মিথ্যা বলাই। ‘বলে দাও, বাবা বাসায় নেই।’ – এই ধরনের মিথ্যা কথা সন্তান যদি মা-বাবার কাছ থেকে শিক্ষা পায়, সেই সন্তান বড় হলে মা-বাবাকেও এভাবেই মিথ্যা বলতে পারে।

মোট কথা, সন্তান হবার পর থেকে নিজের খারাপ স্বভাব, অভ্যাসগুলো বর্জন করে সন্তানের কাছে আদর্শ হতে হবে।

 

৩। সামাজিকতা শিক্ষা

আসামাজিক মানুষকে কেউই পছন্দ করে না। এবং তারা জীবনে সফলতাও অর্জন করতে পারে না। কেননা মানুষ সামাজিক জীব। সমাজেত মানুষ ছাড়া আমরা চলতে পারি না। কারণ জীবনের প্রতিক্ষেত্রে নিজের যোগ্যতার পাশাপাশি অন্যের সাহায্য বা বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ আমাদের এগিয়ে যেতে অনুপ্রাণিত করে। কিন্তু অসামাজিক হলে কেউ তার সাহায্যে এগিয়ে আসবে না। ফলে যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও তার কপালে ব্যর্থতার তকমা লাগিয়ে ঘুরতে হবে। তাই ছোট থেকেই সন্তানকে সামাজিক হবার সুযোগ করে দিতে হবে। তার সমবয়সী বাচ্চার সঙ্গে খেলতে দেওয়া, কোনো সমস্যা হলে মা-বাবা সাহায্য না করে, তার বন্ধুদের নিয়ে তার সমস্যা সমাধানের জন্য উৎসাহ দেওয়া। কিন্তু অবশ্যই মা-বাবাকে দেখতে হবে সন্তান সামাজিকতা শিখতে গিয়ে যেন ভুল পথে না চলে। কিছুক্ষেত্রে দূর থেকেই নজর রাখতে হবে। কেননা বাজে মানুষদের সাথে মিশলে সন্তান তাদের সরূপ হয়ে যাবে। তাই চোখ কান খোলা রাখাও প্রয়োজন।

 

আরো পড়ুনঃ সমালোচনা এড়িয়ে চলার সহজ কৌশল

 

৪। বাড়ির ছোট ছোট কাজ করতে দেওয়া

কোন কাজ শিখে রাখলে সেই কাজ কখনো বিফলে যায় না। চলার পথে কোন না কোন ক্ষেত্রে সেই কাজ কাজে লেগেই যায়। আর কর্ম মানুষের ভিতরে অলসতা সৃষ্টি করতে দেয় না। এবং কাজ মানুষের দায়িত্ববোধকে জাগিয়ে তোলে। অপর দিকে যারা কাজ করে না তাদের শরীরে অলসতা নামক ভয়ংকর রোগ বাসা বাধে যা মানুষকে তিলে তিলে শেষ করে দেয়। আর অলস মানুষ কখনোই সাফল্যের স্বাদ গ্রহন করতে পারে না। তাই বাবা-মা এর উচিৎ তাদের সন্তানকে ৫ বছরের পর থেকেই বাড়ির ছোট ছোট দায়িত্ব দেয়া। এর মাধ্যমে তার দায়িত্ববোধ গড়ে উঠবে। এই দায়িত্ববোধের জ্ঞান তাকে জীবনের নানা ক্ষেত্রে সফল হতে সাহায্য করবে। দায়িত্বশীল মানুষ একদিন না একদিন জীবনে সফলতা পায়। তাই শিশুকে তার বয়স অনুপাতে দায়িত্ব দিন। যেমন- খেলার পর খেলনা গুছিয়ে রাখা, পড়ার টেবিল পরিষ্কার রাখা, জুতার ফিতা বাঁধতে শেখা ইত্যাদি।

 

৫। কম মানসিক চাপ

একুশ শতকের এই প্রতিযোগিতাময় পৃথিবীতে সবাই নিজের অবস্থান প্রথম হিসেবে দেখতে চায়। এক্ষেত্রে বাবা-মা রাই এগিয়ে আছে আমি বলব। তারা তাদের সন্তানদের মাথায় এই প্রতিযোগীতায় প্রথম হওয়ার তাড়না ঢুকিয়ে দেয়। আর অবস্থান ধরে রাখতে বা অবস্থান করে নিতে সন্তানদের উপর চলে মানিসিক চাপ প্রয়োগ। এইটা আমাদের দেশের কমন দৃশ্য। কিন্তু প্রত্যেক বাবা মায়ের উচিৎ তাদের সন্তানকে মানসিক চাপমুক্ত রাখা। কেননা এই চাপই তাদের সাফল্যে বাধা হয়ে দাঁড়াবে, আর তারা ঝরে পড়বে অকালেই। তাই ছোট থেকেই দায়িত্ব জ্ঞান শিক্ষার সঙ্গে সঙ্গে দেখতে হবে কোনো কিছুই যেন সন্তানের মানসিক চাপের কারণ না হয়। পড়াশুনা নিয়ে কখনোই সন্তানকে চাপ দিবেন না। তাছাড়াও বাবা-মায়ের মাঝে মানসিক দোটানা থাকলে সন্তান ও মানসিক চাপে পড়ে। যা আগামীতে তার জীবনের ওপর বিরুপ প্রভাব ফেলতে পারে। মা-বাবা সংসার বা অন্য কারণে মানসিক চাপে থাকলে সন্তানকে বুঝতে দিবেন না। তার সামনে নিজেকে ভারমুক্ত, পজিটিভ রাখার চেষ্টা করুন। এতে সন্তান সঠিক পরিবেশ পাবে, আগামীও সুন্দর হবে।

 

৬। সাধনা ও উচ্চাকাঙ্ক্ষা গড়ে তোলা

জীবনে সফল হতে হলে লক্ষ্য থাকতে হয়, সেই সঙ্গে থাকতে হয় সাধনা আর উচ্চাকাঙ্ক্ষা। সাধনা ছাড়া সাফল্য অর্জন কখনোই সম্ভব নয়। প্রত্যেক সলফ ব্যক্তির পিছনে রয়েছে তাদের অটুট সাধনা। যেইটা সাফল্যের মূল খুটি। সাধনা আর পরিশ্রম দিয়েই সাফল্যের সিঁড়ি তৈরী হয়। আর যার সঠিক পদক্ষেপের মাধ্যমেই পাওয়া যায় কাঙ্খিত সেই করিডর! তাই মা-বাবাকে সন্তানকে লক্ষ্য অর্জনের প্রতি আগ্রহী করতে হবে। বুঝাতে হবে সাধনার গুরুত্ব ও ভূমিকা। সেই সঙ্গে তাকে উচ্চাকাঙ্ক্ষী করে গড়ে তুলতে হবে। কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে উচ্চাকাঙ্ক্ষা যেন এমন পর্যায়ে চলে না যায়, যেখানে সাফল্য পাবার জন্য সন্তান মিথ্যা, অসৎ উপায় গ্রহণ না করে।

 

৭। মা-বাবার পুষ্টিজ্ঞান সম্পর্কে ধারণা

সাফল্য লাভ করতে হলে পরিশ্রমের সাথে সাথে মেধাও থাকতে হবে। কেননা ভুল জায়গায় পরিশ্রম করলে সব পরিশ্রমই বৃথা যাবে। তাই সাফল্য অর্জনের জন্য চাই বুদ্ধিমত্তা। তাই প্রতেক বাবা-মা এরই সন্তানের সুন্দর জীবন ও সাফল্য এর জন্য ছোট থেকেই তার শরীর ও মস্তিষ্কের বিকাশের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। তার জন্য তার খাদ্য তালিকা হওয়া উচিত পুষ্টি সমৃদ্ধ। মা-বাবার তাই খাবারের পুষ্টিজ্ঞান সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান থাকা দরকার। সেই অনুসারে সন্তানকে খাবার দিলে সন্তানের সুস্বাস্থ্য যেমন নিশ্চিত হবে, তেমনি আগামীও হবে সুন্দর।

 

আরো পড়ুনঃ একবার ভাবুনতো আপনি কেন আত্মহত্যা করবেন

 

৮। মা-বাবার উচ্চশিক্ষা

সন্তানের সাফল্যে মা-বাবার অনেক বড় ভূমিকা আছে। বাবা-মা শিক্ষিত না হলে সন্তানকে সঠিক শিক্ষা দিতে তারা ব্যর্থ হবে। আমি আগেও বলেছি পরিবার হচ্ছে সবচেয়ে বড় শিক্ষাক্ষেত্র আর বাবা-মা ই সবচেয়ে বড় শিক্ষক। এজন্য বাবা-মায়ের উচ্চশিক্ষিত হতে হবে। আর বাবা-মা যদি উচ্চশিক্ষিত হয় সন্তান ও সঠিক শিক্ষা পাবে। সেই সঙ্গে সন্তানের ও ইচ্ছা জাগবে মা-বাবার মতো উচ্চশিক্ষা লাভ করতে ও জীবনে সফল হতে।

 

৯। সন্তানের সঙ্গে সুসম্পর্ক

মা-বাবার সঙ্গে সন্তান এর সম্পর্ক যেন সুন্দর আর স্বাভাবিক হয় এর জন্য মা-বাবাকেই সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করতে হবে। সন্তানের সুষ্ঠ সুন্দর বিকাশের জন্য মা-বাবার সঙ্গে বন্ধনটা থাকতে হবে মজবুত। সন্তানের সবচেয়ে ভালো সাপোর্ট হচ্ছে মা-বাবা। মা-বাবার সঙ্গে সন্তানের নিবিড় বন্ধন সন্তানের ভবিষ্যত সাফল্যের ক্ষেত্রে অনেক গুরুত্ব বহন করে।
সন্তানের সাফল্য কামনা করাই শুধু মা-বাবার দায়িত্ব নয়। সেই সাফল্য লাভের জন্য সন্তানকে যোগ্যভাবে গড়ে তুলতে নিজেদেরও প্রস্তুত হতে হবে। বাদ দিতে হবে খারাপ অভ্যাস, অর্জন করতে হবে ইতিবাচক নানা গুণ। মা-বাবার এই সাধনা শুধু তাদের সন্তানকেই সাফল্যের মুখ দেখাবে না, জাতিও পাবে যোগ্য উত্তরসূরি।

 

১০। ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি

নিজের সন্তানকে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখা প্রত্যেক পিতা-মাতারই প্রয়োজন। এটা সন্তান্দের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে সাহায্য করে। তাদের অনুপ্রেরণা যোগাতে সাহায্য করে। আপনার উপর আস্তা রাখলে যেমন আপনার আত্মবিশ্বাস আকাশচুম্বী থাকে ঠিক এক্ষেত্রেও তেমনই। আপর দিকে সন্তানের সামর্থ্যকে বাবা-মা যদি নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখে তাহলে তাদের আত্মবিশ্বাস তলানিতে নেমে যায়। তাদের অনুপ্রেরণায় ঘাটতি দেখা যায় যার ফলে তারা সামনে এগোতে পারে না ব্যর্থতার রাস্তায় প্রেরিত হয়। তাই সন্তানের সক্ষমতার প্রতি আস্থা রাখতে হবে। আর মনে রাখতে হবে সে মনযোগী হলে অনেক কিছুই সম্ভব। তাই তার ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির সাহায্যে তার অনুপ্রেরণা জাগাতে সহায়তা করুন।

পরিশেষে বলব, আপনার সন্তান আগামীর ভবিষ্যৎ। তাকে এই পৃথিবীর প্রতিযোগিতা নামন ভ্রান্ত বিষয়ের জন্য মানসিক চাপ দিয়ে তার অসীম প্রতিভাটাকে গলা টিপে হত্যা করবেন না। হয়ত সেই প্রতিভাটাই হয়ে উঠতে পারে পৃথিবী পরিবর্তনকারী আলোর মশাল। বিডি মোটিভেটর – ভাল কিছুর সাথে সবসময়।


শেয়ার করুন

Leave a Comment