১৫টি উপায় যা আপনাকে সম্মানিত করে তুলবে

শেয়ার করুন

ক্ষমতার মৃত্যু আছে কিন্তু সম্মান চির অমর। ক্ষমতার প্রাচীর একদিন না একদিন ভেঙ্গেই যায়, অন্তিমমতা দেখা যায় কিন্তু সম্মানের প্রাচীর অটুট থাকে। সম্মানের শেষ কখনই হয় না। সম্মান অমূল্য জিনিশ। তাই মানুষের সম্মান সবাই পেতে চায়। এমন কোন ব্যক্তি খুজে পাওয়া যাবে না, যে সম্মান চায় না। আমরা একদিন থেকে বলতে গেলে যা কিছু করছি সবই নিজের সম্মান বৃদ্ধির বা ধরে রাখার জন্যই করছি।

আমরা সবাই চাই আমাদের প্রত্যেকে সম্মান করুক। আর এই সম্মানই আমাদের মাথা উঁচু করে তোলে ধাপে ধাপে। যার সম্মান নেই তাকে মানুষ পছন্দ তো করেই না সাথে সমাজও তার মূল্য দেয় না।

দেবেই বা কি করে যার নিজের সম্মান নেই তথা নিজের দাম নেই তাকে সমাজ কেনোই বা মূল্য দেবে? তারা সমাজে অবহেলিত হয়ে থাকে। অপর দিকে যে সম্মানী ব্যক্তি, সকলের কাছ থেকে যে সম্মান পায় তিনিই সমাজকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেয়। তাদের কথারো সমাজে দাম থাকে।

আর সম্মান শুধু এসবই ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য তা নয়। মানুষের সম্মান নিজেকে অনুপ্রেরিত করে। আত্মবিশ্বাসের খুঁটিটাকে আরো শক্তপোক্ত হিসেবে গড়ে তোলে। ভালো কাজে উদ্বুদ্ধ করে। অন্যদিকে আগেই বলেছি যে সম্মান পাওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের ভিতরে তাড়না কাজ করে। এ তাড়না কর্মক্ষেত্র থেকে শুরু করে পরিবারের পর্যন্ত দেখা যায়।

সবাই আমাদের সম্মান করবে, আমাদের কথার দাম দেবে, আমাদের পরামর্শ গ্রহন করবে এসবের স্বপ্ন আমরা সবাই দেখি। তবে সম্মান পাওয়াটা এত সহজ কাজ নয়। কেউ এমনি এমনি আপনাকে সম্মান করবে না।সম্মান আদায় করে নিতে আপনাকেও কিছু কাজ করতে হবে। নিজেকে সম্মানিত করতে হলে আগে অন্যকে সম্মান দেয়া শিখতে হয়।

 

নিচের ১৫টি উপায় সঠিকভাবে অবলম্বন করলে আপনিও সবার সম্মানের পাত্র হিসেবে গড়ে উঠতে পারবেন।

 

যা যা থাকছে

১। নিজেকে সম্মান করুন

নিজেকে সম্মান করা খুবই জরুরী। কেননা যে ব্যক্তি নিজেই নিজেকে সম্মান করতে পারে না সেই ব্যক্তিকে মানুষ কিভাবে সম্মান করবে? তাই আত্মসম্মানটাই আসল ব্যাপার। এটা মানুষের কাছে সম্মানিত হওয়ার প্রাথমিক ধাপ বলা চলে। যখন আপনি নিজেই নিজেকে সম্মাম করতে শিখবেন, নিজেকে দামি ভাবতে শুরু করবেন তখন আপনার আত্মবিশ্বাস দিগুণ হয়ে যায়।

তাই সম্মান আদায় করে নিতে হলে আপনার প্রথম কাজই হবে নিজেকে সম্মান করা।

 

২। পাওয়ার চেয়ে বেশি দিন

চাই চাই মানুষকে কেউ পছন্দ করে না। তাদের সবাই অনিহা করে। ধরুন কেউ আপনার কাছে বার বার টাকা ধার চাইতে আসে, এবং আপনার প্রয়োজনে সাহায্য করে না। আপনি অবশ্যই সেই ব্যক্তিকে পছন্দ করবেনা।

আবার ধরুন আপনি একজন ছাত্র, এক্সাম হলে আপনার সামনের সিটে বসে থাকা ছাত্রটি প্রতি সাবজেক্টই আপনারটা দেখে লিখছে অথচ কোন সাবজেক্টেই আপনাকে সাহায্য করতে পারে না তাহলে সেই ছাত্রর উপর আপনি বিরক্ত হবেন এবং পরের বার হয়ত আর দেখাবেনই না।

ঠিক সম্মান ব্যাপারটাও কিছুটা এরকমই। সম্মান পেতে হলে কারো কাছে সম্মান পাওয়ার আশা না করে মানুষকে সম্মান দিন। আপনি প্রতিনিয়ত যত সম্মান পাবেন তার থেকে বেশি মানুষকে সম্মান দেয়ার চেষ্টা করুম বেলা শেষে আপনার থলিই পরিপূর্ণ হবে।

 

আরো পড়ুনঃ নিজেকে অনুপ্রাণিত করার ১১টি শ্রেষ্ঠ উপায়

 

৩। আপনার প্রতিজ্ঞা রক্ষা করুন

কথায় এবং কাজে মিল নাই এমন ব্যক্তিকে মানুষ সম্মানী তো দূরে থাক তাদের সহ্যই করতে পারে না।

কথা দিয়ে কথার রাখতে না পারলে মানুষ তাদের বিশ্বাস করে না। ধরুন আপনি টেইলরের কাছে ড্রেস বানাতে দিলেন এবং তার দেয়া ডেলিভারি ডেট মতই আপনি কাপড় আনতে গেলেন কিন্তু সে আরেকটি ডেট দিল এবং আপনাকে অনবরত ঘুরালো তাহলে আপনার সেই টেইলরের উপর কেমন মনভাব তৈরী হবে?

এটা একটা উদাহরণ ছিল মাত্র এরকম সকল ক্ষেত্রেই প্রতিজ্ঞা ভাঙ্গার ফল ঠিক একই রকম। কিন্তু সম্মানিত ব্যক্তিরা কথা দিয়ে বা প্রতিজ্ঞা দিয়ে সেইটা যথাযথ ভাবে পালন করে। তাই সম্মাম অর্জন করতে হলে আপনাকে আপমার প্রতিজ্ঞা রক্ষা করতে হবে।

 

৪। সম্মানিত হবার জন্য নিজেকে তৈরী করুন

আপনি অভদ্র, বিশৃঙ্খল হলে আপনাকে কেউ সম্মান করবে না এইটা সহজ কথা। তাই নিজেকে সংযত করতে হবে। আপনি সবার সম্মান আদায় করে নিতে চাইলে আপনাকে সেভাবেই নিজেকে প্রস্তুত করতে হবে।

দয়ালু হোন, অন্যকে উৎসাহিত করুন, সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন। অন্যের কোন ক্ষতি করবেন না এবং যেকোন কথার বলার আগে ভেবে বলবেন। তাহলেই ধীরে ধীরে মানুষের সম্মান লাভ করতে পারবেন।

 

৫। চ্যালেঞ্জ নিন

চ্যালেঞ্জ সবাই নিতে পারে না। আর যারা পারে তারা আমাদের চোখে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকে। তাই নিজের নিরাপদ স্থান থেকে বের হয়ে এসে কিছু করে দেখান। মানুষ তাকেই সম্মান করে যে চ্যালেঞ্জ নিতে এবং ঝুঁকির সম্মুখীন হতে পারে।

অন্যদিকে যারা ভয়ে কাতর হয়ে ঘরে লুকিয়ে থাকে তাদের মানুষ সম্মান করে না এবং তারা সেটার যোগ্যও না। তাই জীবনে চ্যালেঞ্জ গ্রহন করতে শিখুন। এবং এতে করে অন্যের সামনে দৃষ্টান্ততে রূপান্তরিত হতে পারবেন। এবং সম্মানের ভাগিদার হয়ে উঠবেন।

 

৬। কথার সত্যতা বজায় রাখুন কিন্তু কৌশলী হোন

মিথ্যাবাদীদের কেউ পছন্দ করে না। যারা অনবরত মিথ্যা বলে যায় তারা মানুষেত সম্মানের যোগ্য নয়। তাই সবার কাছে সম্মানিত ব্যক্তি হতে হলে, যা বলবেন সত্যি বলবেন।

মিথ্যাচার করে নিজের গুনগান বা নিজের প্রভাব বিস্তার করে সম্মান অর্জন করতে যাবেন না এতে বরং হিতে বিপরীত হতে পারে।

দেখাযাবে এই মিথ্যেগুলোই আপনার কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই সব সময় সত্যি বলাই শ্রেয়। আবার এমন সত্যি বলবেন না যেটা মানুষের ক্ষতিসাধন করবে। এক্ষেত্রে আপমানে একটু কৌশলী হয়ে উঠতে হবে। হ্যা সত্যি বলবেন তবে কৌশলে যাতে অন্যের ক্ষতি না হয়।

আরো পড়ুনঃ যে কোন ক্ষেত্রে সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়ার সেরা উপায়

 

৭। পজেটিভ হয়ে উঠুন

পজেটিভিটি মানুষকে যেমন সাফল্যের শীর্ষচূড়ায় পৌঁছে দিতে পারে ঠিক তেমনি বয়ে আনতে পারে সম্মানও। এবং এই পজেটিভিটি আপনার জীবনে বয়ে সুখের অনাবিল ঝর্না।

তাই সম্মান পেতে এবং জীবনে সফল হতে এই গুনে গুণান্বিত হওয়া অত্যন্ত জরুরী। তাই জীবনকে পজেটিভলি দেখুন, মানুষকে সম্পর্কে পজেটিভ হোন এবং অবশ্যই নিজের সামর্থ্য সম্পর্কেও।

 

৮। উৎসাহিত করুন

আমাদের সমাজের লক্ষ্যই হচ্ছে অন্যকে টেনে নামানো। আমি পারিনি সেহেতু ও পারবে না এই ধারনাটা আমাদের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ছড়িয়ে পরেছে।

কিন্তু কাউকে কাজে উৎসাহ দেয়ার ক্ষমতাটুকু হারিয়ে ফেলেছি। হিংসার চাদরে ঢাকা পরে গেছে সেই মহৎ গুনটি।

কিন্তু এসব মন মানসিকতা পুষে রাখলে সমাজে সম্মান অর্জন করা সম্ভব নয়। তাই হিংসাকে পাস কাটিয়ে আমাদের মানুষকে কাজে উৎসাহ দিয়ে যেতে হবে তাহলে ফলসরূপ সম্মান তো পাবোই সাথে সাথে আমাদের দেশটাও এগিয়ে যাবে সব ভালো উদ্যোগের দৌতলে।

 

৯। সরি/ দুঃখিত বলতে শিখুন

সরি বললেই আমাদের সম্মান কমে যাবে, আমাদের পারসোনালিটিতে আঘাত হানবে, আমি ছোট হয়ে যাবো ইত্যাদি আমাদের অনেকেই এসব ভুল ধারনা মনের মধ্যে পোষণ করি। যেটা সম্পূর্ণ আমাদের ভুল ধারনা থেকে সৃষ্টি। আর এই ভুল ধারনা থেকেই আমরা ভুল করলে, মানুষের মনে কষ্ট দিলে দুঃখ প্রকাশ করি না।

যাতে করে মানুষগুলোর আমাদের উপর থেকে সম্মান নষ্ট হয়ে যায়। অন্যের ভুলের কারনে আমরা যেমন তাদের থেকে সরি আশা করি এবং সেটা না হলে মনঃক্ষুণ্ণ হই ঠিক তেমনিভাবে আমাদের করা ভুলের জন্য তারাও ঠিক একই জিনিশ আশা করে। আর নিজের ভুল কাজের জন্য দুঃখ প্রকাশ করা মোটেও অস্মমানের কাজ নয় এটা বরং সম্মান জনিত কাজই। এবং সম্মানীয় ব্যক্তিদের দিকে তাকালে আমরা এই দৃষ্টান্তই দেখতে পাই।

 

১০। না- বলতে শিখুন

আমরা অনেক ক্ষেত্রে সম্পর্কের খাতিরে বা অন্য কোন কারনে ভুল বিষয়টিকেও “না” বলতে পারি না। যেটা অবশ্যই বাঞ্ছনীয় নয়।

একজন সম্মানীয় ব্যক্তি নিজের জীবনে কখনোই আপোষ করে না। ভুল বিষগয়ে “না” এবং সঠিক বিষয়ে “হ্যা” বলতে পাড়াটা আপনার মানসিক দৃঢ়তার পরিচয় দেয় এবং সেই সাথে আপনার সৎ সাহসিকতার পরিচয় দেয়। যেটা অন্যের কাছে আপনার সম্মান বাড়াবে।

 

আরো পড়ুনঃ মনকে নিয়ন্ত্রণ করার ১০টি সেরা কৌশল

 

১১। অপরকে যা বলেন সেটা নিজের ক্ষেত্রেও মেনে চলুন

আমরা সকলেই অন্যকে পরামর্শ দিতে পটু হই। এইটা এইভাবে করবে, অইটা ওইভাবে করবে ইত্যাদি সকল ইন্সট্রাকশন দিতে আমাদের একটুও বাধে না। কিন্তু সেই কাজগুলো আমরা নিজে করতে গেলেই সেইসব ইন্সট্রাকশন দৌড়ে পালায়। নিজেই সেগুলো মানিনা।

যখন আপনই আপনার ইন্সট্রাকশন মানেন না তখন অন্য কেউ সেই সকল কথা কেন মানবে আর কেনই বা আপনার কথার দাম দিবে বলুন? তাই অন্যকে কোন অভ্যাস বা যে কোন ইন্সট্রাকশন দিলে নিজে সেটা পালন করুন তাহলে টারাও সম্মানেএ সাথে আপনার কথাগুলো মেনে নেবে। তাই অন্যকে এ্যাডভাইস দিলে নিজে সেটা আমলে নিন।

 

১২। দায়িত্ববান হয়ে উঠুন

দায়িত্ববান ব্যক্তি সকলের পছন্দের। দায়িত্ববোধ একটি মানুষকে পুরোপুরি পাল্টে দেয়। তাদের ভাবনার দুয়ার প্রসারিত করে। নিজের আত্মবিশ্বাসকে বাড়িয়ে তোলে। এবং সকলের চোখে সম্মানিত হিসেবেও প্রতিষ্ঠিত করে। তাই দায়িত্ববান হয়ে উঠতে হবে। ব্যক্তিগত জীবনেই হোক বা প্রফেশনাল ক্ষেত্রেই হোক দায়িত্ব নিন।

কেননা সবকিছু অন্যের উপর চাপিয়ে দিয়ে নিজে ঝামেলা থেকে মুক্ত হতে চাইলে কেউই আপনাকে সম্মান করবে না বরং এতে আপনার অবস্থানের অবনতি হবে। তাই দায়িত্ব নিতে শিখুন, দায়িত্ববোধকে জাগিয়ে তুলুন ফলশ্রুতি মানুষের সম্মানের সাথে সাথে ভালোবাসাও পাবেন।

 

১৩। পোশাক নির্বাচনে সতর্ক থাকুন

এই বিষয়টি আপনার কাছে তুচ্ছ মনে হতে পারে তবে এই বিষয়টিই অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কেননা এখানেই আমরা সচারাচর ভুলটা করে বসি। শুধু পোশাক আমাদের সম্মান এনে দেয় না তা ঠিক তবে ভূমিকা রাখে প্রচুর। ধরুন আপনি একটি অনুষ্ঠানে গেলেন ঘোচানো শার্ট প্যান্ট গায়ে জড়িয়ে তাহলে দেখবেন মানুষ আপনাকে প্রাধান্য কম দিচ্ছে।

অপর দিকে আপনি যদি সুন্দর আয়রন করা এবং আপনার ব্যক্তিত্বের সাথে মিল রেখে অনুষ্ঠানটিতে জয়েন করেন তাহলে আপনার প্রতি অনেকেই ভালো ধারনা পোষণ করবে। তাই পোশাক পরিধানের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকুন। নিজের পারসোনালিটির সাথে যেসব পোশাক যায় সেগুলো পড়ুন এবং যেগুলো যায় না সেগুলো বর্জন করুন।

 

১৪। সব আচরণ সবার সাথে করবেন না

আপনার সদাচরণই পারে আপনাকে সবার কাছে সম্মানিত করতে। অসদাচরণ করলে কেউই আপনাকে পছন্দ করবে না। সবার সাথে সুন্দর আচরণের মাধ্যমেই আপনি সম্মান কুড়াতে পারেন। তাই আচরণবিধি বুঝে করুন যার সাথে যে আচরণ যায় তথা যে আচরণ করলে সে খুশি হবে তার সাথে সেই আচরণ করুন।

গুরুজনদের সাথে নম্রস্বভাবের ব্যাবহার করুন। সমবয়সীদের সাথে বন্ধুসুলভ আচরণ করুন তথা পরিবেশ বুঝে আপনার আচরণবিধি করুম।

 

১৫। অন্যের সমালোচনা থেকে বিরত থাকুন

সমালোচনা করা এখন মানুষের নিত্যদিনের কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে । কিছু গোষ্ঠী আছে যাদের সমালোচনা না আএকরা ছাড়া তাদের পেটের ভাত হজম হয় না। আর এসব সমালোচকদের কেউই পছন্দ করে না। আর তাদের সম্মান করার মানসিকতা তো আসেই না। তাই সম্মান অর্জন করতে হলে অন্যের সমালোচনা থেকে বিরত থাকুন।

যদি সাহায্য বা উৎসাহ দেয়ার ক্ষমতা না থাকে তাহলে সমালোচনা করার অধিকারও আপনার নেই। তাই অপরকে অনুপ্রেরিত করুন তার সমালোচনা না করে। তাহলে মানুষের সম্মানের শীর্ষকাতারে থাকবেন আপনি।

পরিশেষে বলব সম্মান চিরঅমর। মানুষের ভালোবাসা এবং সম্মান নিয়েই বেচে থাকাটাই জীবনের আসল লক্ষ্য। আর সম্মান অর্জন করতে হলে মানুষকে আগে সম্মান করতে শিখতে হবে। অপকে সম্মান করলেই নিজের সম্মানের থলি পরিপূর্ণ হিবে।


শেয়ার করুন

Leave a Comment