জেনে নিন রাগ কমানোর কার্যকরী পদ্ধতি গুলো

শেয়ার করুন

রাগ এমন একটি অনূভুতি যা বড়-ছোট সব বয়সী মানুষের মাঝেই বিদ্যমান। তবে রাগ এমন একটি মানবিক অনূভুতি যা সর্বোচ্চ সীমা অতিক্রম করবার আগেই নিয়ন্ত্রন করা প্রয়োজন। কারণ হিসেবে দেখা গিয়েছে মানুষ তার জীবনের সবচাইতে বড় বড় ভুলগুলো করে রাগের মাথায়, আর এতে করে ক্ষতির মাত্রাটাই শুধু বাড়ে। তাহলে জেনে নিন রাগ কমানোর কার্যকরী পদ্ধতি গুলোঃ

যা যা থাকছে

চোখ বন্ধ করে বড় বড় নিঃশ্বাস নিনঃ

গবেষণামতে দেখা গিয়েছে প্রচন্ড রাগের সময়ে চোখ বন্ধ করে বড় বড় নিঃশ্বাস নেওয়ার ফলে রাগের পরিমাণ ধীরে ধীরে লোপ পায়। আর মাথার ভেতরে অক্সিজেনের প্রভাহ বৃদ্ধি পায় এভাবে সেজন্য রাগ কমানোর অন্যতম কার্যকরী উপায় ভাবা হয় একে।

পছন্দের গান শুনুনঃ

গান শুনতে কে না ভালোবাসে?একেকজন মানুষের রয়েছে একেকরকমের পছন্দের গান।আর প্রচন্ড রাগের সময়ে এই গানগুলো শোনার মাধ্যমে কমে যেতে পারে আপনার রাগের পরিমাণ। এজন্য গানকে অনেকে মাইন্ড রিলাক্সিং ওষুধ ও বলে থাকেন।

হাঁটাচলা করুনঃ

রাগ নিয়ন্ত্রনের জন্য কোথাও থেকে হেঁটে আসুন, আশেপাশে তো প্রাকৃতিক পরিবেশ থাকলে হয়েই গেলো এমনিতেই আপনার মন থেকে রাগ কমে যাবে আর সেটি না পাওয়া গেলেও এমনিতেই কিছুক্ষণ হেঁটে আসুন। হাঁটাচলা করলে রাগের পরিমাণ কিন্তু খুব দ্রুতই কমে আসে।

আরো পড়ুনঃ ব্যক্তিগত উন্নয়নের ১১ টি প্রফেশনাল উপায়

 

যৌক্তিকতা চিন্তা করুনঃ

কিছুক্ষণ একাকী বসে চিন্তা করুন আপনার রাগ কি সত্যিই যুক্তিসঙ্গত? আসলেই কি এই কারণে এতোটা বেশী রাগ করা উচিৎ? নিজের সাথে নিজে এই ব্যাপারে কথা বলুন দেখবেন ধীরে ধীরে রাগ কমে আসছে।

বই পড়ুনঃ

আপনার পছন্দের গল্পের বইটি নিয়ে এক কোনায় শুয়ে-বসে পড়া শুরু করে দিন, গল্পের মাঝে একবার ডুবে গেলে রাগ কোথায় পালিয়ে যাবে নিজেও বুঝতে পারবেন না।

খেলাধুলা করুনঃ

রাগ সহ্য করতে না পারলে সোজা চলে যান খেলার মাঠে, চেষ্টা করুন কিছু পরিশ্রমী খেলা খেলতে, ফুটবলের পেছনে দৌড়াতে দৌড়াতে ক্লান্ত হয়ে কখন রাগ মুছে যাবে টেরও পাবেন না।

ঠান্ডা পানিত গোসল করুনঃ

বলা হয়ে থাকে শরীর ঠান্ডা তো মন ঠান্ডা, প্রচন্ড রাগের সময় ঠান্ডা পানি দিয়ে একটি গোসল সেরে আসুন, ঝর্ঝরে শরীরে রাগও কমে আসবে, তবে সাবধান শীতের মৌসুমে এই পদ্ধতি অনুসরণ করতে না যাওয়াই ভালো।

পছন্দের খাবার খানঃ

এটা শুনতে বিরক্তিকর হলেও একদম গবেষণা করে বের করা তথ্য , প্রচন্ড রাগের সময় প্রচুর পরিমাণে নিজের পছন্দের খাবার খান ,খেতেই থাকুন খেতেই থাকুন যতক্ষণ না মন ঠান্ডা হয়। তবে এ পদ্ধতিতে অনুসরণ করতে গেলে পকেট গড়ের মাঠ হলে লেখক দায়ী থাকবেন না কিন্তু সেটা আগেই সাবধান করা হল।

রাগ এমন একটি অনূভুতি যা কখনোই ভালো সুফল বয়ে নিয়ে আসেনা, তাই চেষ্টা করুন সবসময় হাসিখুশি থাকতে জীবনের কঠিন পরিস্থিতির সাথে মানিয়ে চলতে। আপনার সময়টা ভালো কাটুক এই প্রত্যাশাতেই বিদায় নিচ্ছি।


শেয়ার করুন

Leave a Comment