পড়াশোনা করার উত্তম সময় কোনটি? রাত নাকি দিন?

শেয়ার করুন

পড়াশোনা করার উত্তম সময় কোনটি? রাত নাকি দিন। এটা ছাত্রদের মাঝে অনেক বিতর্কের সৃষ্টি করে, রাতে পড়া ভাল নাকি দিনে? কেউ হয়ত রাত কে অনেক বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে আবার কেউ দিন কে। প্রত্যেকটা বিষয়ের দুটি দিক রয়েছে ভাল এবং মন্দ।

 

অনেকেই মনে করে সে পড়াশোনার ভাল সময়টি জানে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষ্যে আমরা সবাই একে অন্যের থেকে আলাদা। এমন অনেকেই আছে যারা রাতে পড়াকে অনেক বেশি বেস্ট মনে করে আবার কেউ সেটা কে মনে করে সকালে বা বিকালে। আর এই বিতর্কের একটা ভাল উত্তর পাওয়ার পাশাপাশি আমরা আজকে জানতে পারব পড়াশোনা করার উত্তম সময় কোনটি হওয়া উচিত।

 

দিনের বেলায় পড়াশোনা করার ৪টি উপকারিতাঃ

 

১। রাতে পর্যাপ্ত পরিমান ঘুমানোর পর দিনে আপনি স্বাভাবিক ভাবেই অধিক শক্তি পাবেন এবং এটাকে কাজে লাগিয়ে আপনি অনেক পড়াশোনা করতে পারবেন। এই ক্ষেত্রে রাতে আপনার পর্যাপ্ত ঘুম হওয়া আবশ্যক।

 

২। দিনের বেলায় পড়াশোনা করতে গিয়ে আপনার অনেক কিছু প্রয়োজন পড়তে পারে। যেমন লাইব্রেরী যাওয়া, নতুন কোন বই কিনতে যাওয়া, শিক্ষক এর কাছ থেকে সহযোগিতা ইত্যাদি। দিনের বেলায় পড়াশোনার ক্ষেত্রে আপনি এমন অনেক সুবিধা পাবেন যা রাতের বেলায় সম্ভব না।

৩। দিনের বেলায় যোগাযোগ অনেক সহজ। যদিও এই মোবাইল ফোনের যুগে আমরা অনেক প্রয়োজনীয়তায় মোবাইলে কথা বলার মধ্যমে করে নিতে পারি। তবে সরাসরি আপনার ফ্রেন্ডদের সাথে, শিক্ষক-শিক্ষিকার সাথে অনেক সমস্যা নিয়ে আলোচনা করলে বেশি ফলাফল দেবে। আর এটা দিনের বেলা করা আপনার জন্য বেশি সহজ।

 

৪। দিনের আলো আপনার চোখের জন্য অনেক বেশি উপকারী রাতের কৃত্তিম আলোর চেয়ে। কৃত্তিম আলো আপনার চোখের ক্ষতি করে যা আপনার ঘুমে সমস্যা সৃষ্টি করে। দিনে পড়াশোনা করলে আপনি এই সুবিধাটিও পাবেন।

 

রাতের বেলায় পড়াশোনা করার ৪টি উপকারিতাঃ

 

১। দিনের বেলার পরিবেশটা অনেক হৈচৈপূর্ণ। বিভিন্ন ধরনের শব্দ, কথা-বার্তা আপনার কানে আসবে। আর রাত অনেক শান্ত এবং নিরব। আপনি তখন যা পড়বেন শুধু তাই আপনার কানে পৌছবে এবং আপনার মনে প্রবেশ করবে সহজে। এই জন্যেই রাতের অল্প সময়ের পড়া দিনের অনেক বেশি সময়ের পড়ার সমান।

 

২। রাত এতো শান্ত আর নিরব থাকে বিদায় আপনি অনেক বেশি মনযোগ দিয়ে পড়তে পারেন। তখন আপনাকে বিরক্ত করার কেউ থাকে না। আমরা এখন রাতে পড়েও বেশি আউটপুট নিতে পারি না কেননা দেখা যায় আমাদের স্মার্টফোনটি আমাদের টেবিলেই থাকে এবং কিছু সময় পর পর আমরা হয়ত ফেইসবুক অথবা ইউটিউবে সময় ব্যয় করি। তবে সেটা যদি পড়াশোনা সংক্রান্ত হয় তাহলে সমস্যা নেই। তবে তা যদি শুধু চ্যাটিং এর জন্য হয় তাহলে দয়া করে মোবাইল ফোনটি বন্ধ করে পড়তে বসুন।

 

৩। রাত আপনার সৃজনশীলতা, সৃষ্টিশীলতা কে অনেক গুন বাড়িয়ে দেয়। তাই রাতে পড়াশোনা করা কে অনেকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকেন।

৪। রাতে দিনের বেলার মত এতো ঝামেলা নেই। নেই শব্দদূষন, ছোট ভাই-বোন ঘুমিয়ে থাকে বিদায় তারাও আপনাকে বিরক্ত করতে পারবে না। আপনার পড়ার রুমের পরিবেশটা এমনভাবে তৈরী করুন যেন আপনার অনেক ভাল লাগে। আপনি একটা সুন্দর টেবিল ল্যাম্প কিনে নিয়ে আসতে পারেন। রুমের অন্য আলো নিভিয়ে টেবিল ল্যাম্পের আলোতে পড়তে বসে যান। যে বিষয়টা আপনার বেশি ভাল লাগে সেই সাব্জেক্টা দিয়ে শুরু করুন। তারপর যখন আপনার পূর্ণ মনযোগ চলে আসবে তখন আপনি কঠিন বিষয়টা নিয়ে বসুন।

 

এমন আরও অনেক কারণ থাকতে পারে যার জন্য অনেকে রাত কে পড়ার উত্তম সময় মনে করছে কেউ বা আবার দিন কে। তবে সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল এটা একান্তই আপনার ব্যক্তিগত পছন্দের উপর নির্ভর করে। দুঃখজনকভাবে, এটা আসলেই সত্য যে পড়াশোনার কোন উত্তম সময় নেই। এটা ব্যক্তিবেদে ভিন্ন হয়ে থাকে।

 

এছাড়াও যদি আরো কোন বিষয় থাকে তাহলে কমেন্ট করে আমাদের জানান। আপনার পরামর্শ আর কমেন্ট আমাদের কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ।


শেয়ার করুন

Leave a Comment