কিভাবে সবসময় হাসি-খুশি থাকা যায় – উপভোগ করুন প্রতিটি মুহূর্ত

শেয়ার করুন

আমাদের জীবন ক্ষণস্থায়ী। আজ বেচে আছি তবে কাল যে বেচে থাকবো এই কথা কেউই বুক চাপড়ে বলতে পারবে না। তাই যেটুকু সময় আমরা পাই আমাদের উচিৎ সেই সময়টুকু সর্বস্ব দিয়ে উপভোগ করা। প্রত্যেকটি মুহূর্ত প্রাণবন্ত থাকা। আমাদের যা কিছু পরিশ্রম এই সবের পিছনে মূল উদ্দেশ্যই কিন্তু সুখী হওয়া।

তাই এই সুখটাকে উপভোগ করতে হলে হাসি-খুশি থাকা প্রয়োজন। কিন্তু আমরা কি সেই কাজটা করতে পারছি? না! অনেকেই হয়ত আমার মতই জবাব দেবেন। কেননা চলার পথে বাধা বিপত্তি আমাদের হাসিটুকুও কেড়ে নেয়। এর পরেই আমাদের মনে ডিপ্রেশনের বাসা বাধে, ক্রমশই সেই ডিপ্রেশনের জাল আমাদের গ্রাস করে ফেলে আর সেই সাথে কেড়ে নেয় আমাদের হাসি-খুশি থাকার ক্ষমতাও।

আর ওই জালের প্রাচীর ভেদ করা রীতিমত কঠিন হয়ে পরে। কিন্তু বলা হয় সব সময় হাসি-খুশি থাকা আমাদের স্বাস্থ্যর জন্য একটি মহা ঔষধ। হাসলে যেমন আপনার শরীর ভালো থাকে তেমনি মনও থাকে ফুরফুরা। এবং এটি আপনার আত্মবিশ্বাসকে চাঙ্গা করে তোলে ।

এখন যদি আপনার মনে প্রশ্ন জাগে “কিভাবে সব সময় হাসি-খুশী থাকা যায়?” তাহলে আমি বলব আপনি সঠিক জায়গায় প্রবেশ করেছেন এবং এই লেখাটি আপনারই জন্যই।

যা যা থাকছে

নিচের ১৫ টি কৌশল অবলম্বনে আপনার জীবন হয়ে উঠিতে পারে হাসি-খুশিময় এবং প্রাণবন্ত।

১। আফসোস করবেন না

আফসোস করাই হতাশার মূল কারন। আর আফসোসই আপনার জীবনের সুখগুলোর সমীকরণ দুমড়ে মুচড়ে দেয়। আফসোস সাধারণত আমরা অনেকেই করি। আফসোস নানা ধরনের হয়ে থাকে যেমন : আমার ভালো চেহারা নেই, আমার ভালো মোবাইল নেই, আমি কেন ভালো স্টুডেন্ট নই, আমি কেন মোটা, ইতাদি ইত্যাদি।

তবে আফসোস যে কারনেই হোউক না কেন মনে রাখবেন আফসোস আপনাকে কখনো হাসতে দেবে না। আপনাকে অপূর্নতার স্বাদ বহন করাতে বাধ্য করবে। তাই আফসোস না করে ব্যাপারটাকে পজেটভলি নিন্তা করুন।

আপনার হয়ত ভালো মোবাইল নেই কিন্তু আপনার কিছু প্রকৃত বন্ধু রয়েছে, ভার্চুয়াল লাইফে প্রকৃত বন্ধু পাওয়া সত্যিই কিন্তু ভাগ্যের ব্যাপার। তাই ভেবে দেখুন আপনি এদিক দিয়ে কতটা এগিয়ে। এভাবেই আফসোস গুলোকে পজেটিভ দিকে পরিণত করুন তাহলেই আপনি সুখি হতে পারবেন।

২। অতীত নিয়ে ভাববেন না

অতীতের চিন্তা আমাদের পুরোপুরি গুড়িয়ে দেয়। তখন আমরা সুখের নাগাল হাতড়ে পাই না। জীবন থেকে হারিয়ে যায় হাসি-খুসি নামক মূল্যবান জিনিশ।

আমাদের স্বাভাবিক জীবনকে অতিষ্ঠ করে ফেলে অতীত নামক বিভীষিকা। কেননা আমরা প্রায় সবাই অতীতের তাড়নায় রিক্ত থাকি। আমাদের সবারই কম বেশী বাজে অতীত থাকে যেটা আমাদের পিছু কোন ক্রমেই ছাড়ে না। অতীতের করা ভুলের তীর্যক তীর বরাবর হৃৎপৃন্ডে আঘাত হানে। যেটি আমাদের জীবনের সব সুখটুকু নিংড়ে নেয়।

কিন্তু আপনার মনে রাখতে হবে অতীত নিতান্তই আপনার অতীত। যেটা আপনি চাইলেও কোন কিছুর বিনিময়ে ফিরিয়ে আনতে পারবেন না। তাই আপনাকে বর্তমান নিয়ে বেচে থাকতে হবে। অতীত ঝেড়ে ফেলে বর্তমানকেই প্রায়োরিটি দিতে হবে। তাহলেই আনন্দ আপনার উঠনে নুইয়ে পড়বে।

আরো পড়ুনঃ ৫টি কৌশল যা আপনাকে সবার কাছে পছন্দনীয় করে তুলবে

৩। কম আশা করা

আমরা প্রায়শই আমাদের আশাটাকে আমাদের পরিমিতির বাইরে নিয়ে ফেলি। যেটার ফল পরিশেষে বেদনায় দায়ক হয়, আর এইটাই তো স্বাভাবিক। কেননা কষ্ট মানুষ তখনই পায় যখন তার ভাবনা সাথে বাস্তবতাটা মিলে না। সাদ্ধের অতিরিক্ত আশা করাটা ভুল বটে আর জেনে শুনেই আমরা এই ভুলটাই করে বসি বার বার।

ধরুন আপনার পকেটে ১০০ টাকা আছে এবং আপনি ২০০ টাকা মূল্যের খাবার খেতে চাইলেন কিন্তু এটা তো কখনোই সম্ভব নয়, তাই বলে কি আপনি কষ্ট পাবেন?

যদি পেয়ে থাকেন তাহলে আমি বলব আপনি ভুল করছেন। আপনার উচিৎ হবে ১০০ টাকা দিয়েই ভালো কোন একটা খাবার খাওয়া। সহজ সমীকরণ! আর এই সমীকরণটি মাথায় গেঁথে ফেলুন তাহলেই আপনার জীবন আনন্দে ভড়ে উঠবে।

৪। হতাশ হবেন না

হতাশাই আপনার হাসিকে কেড়ে নেয়ার মূল কারন। আমাদের মধ্যে অল্পতেই হতাশ হওয়ার তাড়না দেখা যায়। আর এই হতাশাই আমাদের মনবল, আত্মবিশ্বাস এবং ভিত্তিকে ধ্বংস করে দেয়। মোট কথা আমাদের ভেতরকার কাঠামো চুরমার করে দেয়।

যার ফলে আমাদের জীবনে দঃখের অশুভ ছায়া নেমে আসে। আমাদের জীবনে অনেক ইচ্ছাই তো থাকে তবে সব কি কখনো পূরন হয়? সব ইচ্ছাই কখনো পূরন হবে না আর এই চরম সত্যটাকেই বুকে ধারন করে আপনাকে বেচে থাকতে হবে।

তা নিয়ে কখনোই হতাশ হওয়া যাবে না। বিশ্বাস করুন যা আপনি পেয়েছেন তাই আপনার জন্য শ্রেষ্ঠ উপহার। বিধাতা নিশ্চই কোন ভুল করবে না, তাই না?

৫। বাস্তববাদী হতে হবে।

হাসি-খুশি থাকার জন্য আপনাকে অবশ্যই বাস্তববাদীতে রূপান্তরিত হতে হবে। যেটা সত্য সেটাকে সত্য বলে মেনে নিতে হবে। অবাস্তব স্বপ্ন দেখা পিরিহার করতে হবে। অবাস্তব স্বপ্ন কখনোই বাস্তবায়ন হবে না। বেলা শেষে আপনার দুঃখের সাগরে ভাসতে হবে।

খেয়াল করে দেখবেন যারা সব সময় হাসি-খুশ থাকে তারা বেশ বাস্তববাদী ধনের মানুষ হয়ে থাকে। তাদের মদ্যে সত্যিকে সত্যি বলে মেনে নেয়ার সৎ সাহস থাকে। তাড়াও স্বপ্ন দেখে তবে সেটি বাস্তব স্বপ্ন, কোন দিবা স্বপ্ন নয়। তাই তারা কষ্ট কম পেয়ে থাকে এবং সব সময়ই প্রানবন্ত তবাকে।

তাই আপনি যদি হাসি-খুশি জীবন যাপন করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই বাস্তববাদী হতে হবে।

আরো পড়ুনঃ ব্যক্তিত্ব সফলতার জন্য কতটা একান্ত প্রয়োজনীয়

৬। ডায়েরি লিখুন

ডায়েরি লেখা একটি ভালো অভ্যাস। ডায়েরি লিখার ক্ষেত্রে আপনি আপনার দিনের বিশেষ বিশেষ কাজ গুলো লিখে রাখতে পারেন।

যার ফলে আপনার পুরো দিনের ভালো কাজ গুলো টুকে রাখা হয়ে যাবে এবং সেই ভালো কাজগুলোর স্মৃতিচারণ আপনার ঠোটের কোনায় এক চিলতে হাসি এনে দিবে। তাই হাসি-খুশি থাকতে হলে ডায়েরি লিখতে পারেন।

৭। পুরনো বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ করুন

এই পদ্ধতি আপনাকে হাসি-খুশি রাখতে অত্যন্ত বড় ভূমিকা পালন করবে। যেসব বন্ধুদের সাথে আপনার অনেক দিন কোন যোগাযোগ নেই তাদের ফোন করে একটু খোঁজ খবর নিন অথবা আপনাদের মধ্যকার কাটানো পুরনো কিছু স্মৃতিচারন করুন।

এই পদ্ধতি মুহূর্তের মধ্যেই আপনার মুখে হাসি ফুটিয়ে তুলবে। পুরনো বন্ধুত্বে ধুলো পড়তে না দিয়ে সেই সম্পর্কটাকে পুনরায় চাঙ্গা করে তুলুন তাতে করে আপনার মন ভালো হয়ে যাবে।

এ কাতারে আপনার ছোট বেলার বন্ধু বা ছাত্রজীবনের বন্ধুদের রাখতে পারেন। কেননা সেই সমকার বন্ধুত্বকেই তো বলে আসল বন্ধুত্ব।

৮। অপ্রয়োজনীয় জিনিশ অন্যদের দিয়ে দিন

আমাদের সকলের বাড়ীতে নিশ্চয় এমন অনেক জিনিশপত্র রয়েছে যেগুলো আমাদের একেবারেই প্রয়োজন নেই। যেমন ধরুন পুরনো পোশাক, বই, এবং সংসারের নানা জিনিশপত্র। এগুলো এমন মানুষকে দিন যাদের এগুলো কাজে লাগবে।

আমাদেএ চারপাশে এরকম অনেক গরীব মানুষ পাওয়া যায় যাদের কিছুই নেই। আর তাদের এগুলো দিয়ে দিলে তাদের মুখের তৃপ্তির হাসি দেখে আপনার ঠোঁটের কোনায় এক চিলতে হাসি আসতে বাধ্য।

এর ফলে মনে প্রশান্তি আসে এবং অনেক ভালোলাগা জন্ম নেয়।

৯। বাব-মায়ের কাছ থেকে পুরনো গল্প শুনুন

আমি বলব এটি আপনার নিজেকে হাসি-খুশি রাখার একটি শ্রেষ্ঠ প্রসেস। আমাদের প্রেত্যেকেরই ছোটবেলার কিছু মজার গল্প থাকে। যেগুলো শুনলে না হেসে থাকা যায় না।

সেই গল্পগুলো তাদের জিজ্ঞাসা করে শুনুন, আপনার মন যতই খারাপ থাকুক না কেন আপকনাকে সেই গল্প হাসিয়েই ছাড়বে। অন্যদিকে বাবা-মায়ের সাথে সময় কাটানোও হয়ে যাবে যেটা আপনার মনে প্রশান্তির একটি শীতল দোল খায়িয়ে দেবে।

এক্ষেত্রে আপনি আপনার দাদা-দাদীর কাছ থেকে তাদের আমলের গল্পও শুননে পারেন। বিশ্বাস করুম মুহূরতেই আপনার সব কষ্ট দৌড়ে পালিয়ে যাবে। এবং আপনি হাসি-খুশি থাকতে পারবেন।

১০। ইতিবাচক চিন্তার অনুশীলন করুন।

ইতিবাচক চিন্তা সৎ চরিত্রের একটা বিশেষ গুণাবলি। যেটা আমাদের সবারই রপ্ত করা অতিব জরুরী। জীবনে ভালো কিছু অর্জন করতে হলে আমাদের ইতিবাচক চিন্তা করা প্রয়োজন।

কেননা ইতিবাচক চিন্তা আপনার কাজকে যতটা অনুপ্রেরণা দিয়ে এগিয়ে নিয়ে যাবে সেটি অন্য কোন মাধ্যম পারবে না বলে আমার বিশ্বাস। ইতিবাচক চিন্তার মাধ্যমেই মানুষ সাফল্যের স্বর্নশিখড়ে পৌছে দেয়। আর সাফল্য লাভের মাধ্যমেই আমাদের জীবনে অনাবিল সুখের আগমন ঘটে আর আমাদের হাসি-খুশি থাকতে সাহায্য করে।

অপর দিকে যারা নেতিবাচক চিন্তাভাবনার অধিকারী তারা তখনই জীবনে উন্নতি লাভ করতে পারে না। তাদের লক্ষই হল অন্যকে নিচে টেনে নামানো। বেলা শেষে তারা সুখি হতে পারে না না। তাই হাসি-খুশি থাকতে হলে আমাদের অবশ্যউ ইতিবাচক চিন্তার অধিকারী হতে হবে।

আরো পড়ুনঃ জেনে নিন রাগ কমানোর কার্যকরী পদ্ধতি গুলো

১১। ক্ষমা করতে শিখুন

আমরা সকলেই জানি যে ক্ষমা করা একটি মহৎ গুন। এই গুনে গুণান্বিত হলে মনে প্রশান্তির ডানা মেলে। কিন্তু আমাদের সমাজের অনেক মানুষই ক্ষমা করার মানসিকতা ধারন করেন না। তাদের কাছে ক্ষুদ্র অপরাধ বা ভুলও হয়ে ওঠে ক্ষমার অযগ্য।

এর ফলে ধীরে ধীরে মনের অজান্তেই তারা বিচ্ছিন্ন হয়ে পরেন অন্যের কাছ থেকে। এর সংখ্যা ক্রমশই বাড়তে থাকে। যার কারনে নীজ জীবনে একা হয়ে পড়েন।

ভোগতে থাকেন একাকীত্ব নামক মানসিক যন্ত্রনায় যার ফলে তার জীবনের হাসি নামক প্রশান্তি হারিয়ে যায়। তাই আমাদের হাসি-খুশি থাকতে হলে ক্ষমাশীল হতে হবে।

১২। দুশ্চিন্তাকে দূরে রাখুন

দুশ্চিন্তা আপনার হাসি খুশিময় জীবনযাপনের ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। কেড়ে নেয় সকল প্রকার মানসিক প্রশান্তিও। বিকল করে দেয় সুখকে। এটি আসলে মানুষকে ভালো থাকতে দেয় না। দুশ্চিন্তার কবলে পড়লে বাচা কঠিন হয়ে পড়ে। সমস্যাই আসলে দুশ্চিন্তাকে জাগিয়ে তোলে।

তাই মনে রাখতে হবে যে ধনী, গরীব, ছোট, বড় সকলের জীবনেই কোনো না কোনো সমস্যা থাকবেই, যেটা খুব স্বাভাবিক ব্যাপার। তাই সমস্যা নিয়ে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত না হয়ে সেগুলোকে সহজ ভাবে নিন।

এবং ধীরে ধীরে একটি একটি করে সমস্যার সমাধান খুজে বের করুন তাহলে দেখবেন কোন সমস্যাই আসলে বড় সমস্যা মনে হবে না। আসলে সমস্যাকে সহজ ভাবে নিলে পৃথিবী এবং এই সুন্দর পৃথিবীর মানুষগুলোকেও অনেক সহজ ও সুন্দর মনে হবে।

১৩। মেডিটেশনে বসুন

মেডিটেশন মানসিক প্রশান্তি আয়নে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে। যেটা আপনাকে সব সময় হাসি-খুশি রাখতে সহায়তা প্রদান করবে। মেডিটেশন একাধারে আমাদের স্বাস্থ্যের জন্যও অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটির মাধ্যামে মনকে নিয়ন্ত্রণ রাখা সম্ভব আর মনে রাখবেন মনকে নিয়ন্ত্রনে রাখতে পারলে পৃথিবীর সব কিছুকেই সহজ মনে হবে।

মেডিটেশন করার হাজারো কৌশল রয়েছে। যারা নতুন করে শুরু করছেন বা করবেন, তারা চুপ করে বসে থেকে শুধু নিজের শ্বাস-প্রশ্বাসের দিকে নজর দিন। চিন্তা অন্যদিকে চলে গেলে পুনরায় তাকে আবার ফিরিয়ে আনুন। এ সময়ে মোবাইল ফোন বন্ধ রাখা উত্তম।

অর্থাৎ আপনার পুরো মনযোগ থাকবে মেডিটেশনে। এই প্রক্রিয়ায় আপনি আপনার মানসিক প্রশান্তি ফিরে পাবেন ফলশ্রুতি আপনি হাসি-খুশি থাকতে পারবেন।

১৪। নিজেকে খুশি ভাবুন

নিজেকে খুশি ভাবাটাই আসলে মূলমন্ত্র। এখানেই লুকিয়ে আছে সুখের সমগ্র সারমর্ম। কেননা নিজেকে খুশি রাখার সম্পূর্ণ দায়িত্ব কিন্তু আপনারই, কেউ এই দায়িত্ব সম্পূর্ণ পালন করবে না হয়ত কিছু ভূমিকা রাখবেন।

আপনি যখন নিজেকে খুশি ভাবনেন তখনই আপনি সুখি হতে পারবেন। কেননা আপনি যদি নিজেই নিজেকে অসুখী ভাবতে শুরু করেন তাহলে আপনার আত্মবিশ্বাস হারিয়ে যাবে। আপনাকে দুশ্চিন্তা তার চাদরে মুড়িয়ে নেবে, হতাশা গ্রাস করে ফেলবে সমগ্র দেহ।

যার ফলে আপনার জীবন হয়ে উঠবে বিভীষিকাময়। যেখানে সুখ নামক কোন বস্তুর ঠাই নেই, ঠাই নেই আনন্দের। তাই নিজেকে পৃথিবীর সব থেকে সুখি মানুষ ভাবুন। নিজের উপর বিশ্বাস রাখুন, আস্থা রাখুন। দেখবেন অনেক খুশি থাকতে পারবেন।

১৫। জীবনের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকুন

আমাদের প্রত্যেকের জীবনের প্রতি কৃতজ্ঞতা থাকা সবচেয়ে জরুরী বিষয়। এই সুতায়ই বাধা আছে হাসি-খুশি থাকার সকল কাঠামো। আমাদের যা আছে, যা পেয়েছি তা নিয়ে সন্তুষ্ট থাকলেই জীবনে সুখের জোয়ার আসবে। যেখানে কখনো ভাটা পরবে না।

আমরা যে কতটা ভালো আছি সেটা হয়ত আমরা জানিই না। আমাদের হাতে বা কাছে যখন একটা জিনিশ থাকে তখন আমরা সেটার মূল্য দিতে পারি না। যখন সেটা হারিয়ে যায় এবং বার বার চেয়েও সেটা আর ফিরে পাই না, তখন আসলে বুঝি জিনিশটা কত মূল্যবান ছিল। তাই যা আমরা পাইনি সেটা নিয়ে না ভেবে পরিবার, অর্থ, শান্তি, সুস্বাস্থ্য অর্থাৎ জীবনে যা আমরা পেয়েছি তার প্রতি যদি আমাদের কৃতজ্ঞতা বোধ থাকে তাহলে জীবন সুন্দর মনে হবে। জীবনে সবসময় হাসি-খুশি বিদ্যমান থাকবে।

উপরক্ত ১৫ টি কৌশল অনুসরণ করে আপনি আপনার জীবনে হাসি-খুশিকে চিরস্থায়ী করতে সক্ষম হবেন। যেটা আপনাকে চলার পথে অনুপ্রেরিত করে সফল ব্যক্তিতে পরিণত করতে সহায়তা করবে।


শেয়ার করুন

Leave a Comment